Top 10 Indian Universities Popular Among Bangladeshi Students

উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত: কেন ভারত?

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে ভারত ক্রমশ একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। এর পেছনে বেশ কিছু শক্তিশালী কারণ রয়েছে, যা ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে নিয়ে এসেছে।

Top 10 Indian Universities Popular Among Bangladeshi Students

মূলত যে সুবিধাগুলোর জন্য ভারত জনপ্রিয়তা পেয়েছে:

  • সাশ্রয়ী টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচ: পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় ভারতে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ অনেক কম, যা পরিবারের উপর আর্থিক চাপ কমায়।
  • ভৌগোলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক মিল: বাংলাদেশ ও ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান কাছাকাছি হওয়ায় যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী। পাশাপাশি, দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল থাকায় শিক্ষার্থীরা সহজেই নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
  • বিশ্বমানের শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IITs) এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। QS World University Rankings অনুযায়ী, ভারতের ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ১,০০০ এর তালিকায় রয়েছে, যা শিক্ষার উচ্চমান নিশ্চিত করে।

এই নিবন্ধে আমরা ২০২৫ সালের সেশনের জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে দিনাজপুর ও রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ১০টি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করব, যা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা কেন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করে?

বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

  • তুলনামূলক কম খরচ: ভারতের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচ বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমতুল্য বা তার চেয়েও কম। উদাহরণস্বরূপ, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে (LPU) বি.টেক প্রোগ্রামের জন্য শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের চার বছরে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ৬,০০,০০০ বাংলাদেশী টাকা।
  • সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা: দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ এবং কম ব্যয়বহুল, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর ও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলো থেকে সরাসরি স্থলপথে যাতায়াতের সুযোগ থাকায় এই সুবিধা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
  • সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল: খাবার, পোশাক এবং জীবনযাত্রার অনেক ক্ষেত্রে মিল থাকায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে।
  • বিভিন্ন কোর্সের বিশাল সমাহার: ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, আইটি, বিজনেস, আইনসহ আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি: ভারতীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি পশ্চিমা দেশগুলোতেও অত্যন্ত মূল্যবান। এর প্রমাণ হিসেবে, LPU থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা মেহেদী হাসান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন।

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৫ সালের সেরা ১০টি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে এমন ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো শিক্ষার মান, সুযোগ-সুবিধা এবং বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশের কারণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

শারদা বিশ্ববিদ্যালয় (Sharda University), দিল্লি-এনসিআর

দিল্লি-এনসিআর (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন) এ অবস্থিত শারদা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সেরা একটি পছন্দ। এটি ভারতের ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (NAAC) দ্বারা A+ গ্রেডে স্বীকৃত এবং NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে ৮৬তম স্থানে রয়েছে।

শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • ক্যাম্পাস ও সুবিধা: ৬৩ একরের বিশাল ও ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হোস্টেল এবং ১৬০০+ শয্যা বিশিষ্ট একটি সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। মেডিকেল, নার্সিং এবং অ্যালাইড হেলথ সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই হাসপাতালটি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের এক অসাধারণ সুযোগ তৈরি করে।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ এবং গবেষণার জন্য বিশ্বের ৩০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এর চুক্তি রয়েছে।
  • কোর্সের সংখ্যা: বিভিন্ন বিষয়ে ১৩৫টিরও বেশি কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয় কোর্স: বি.টেক (সকল স্পেশালাইজেশন), বিবিএ, এমবিএ, বিসিএ, এবং ইন্টিগ্রেটেড এলএলবি কোর্সগুলোতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

স্কলারশিপ: শারদা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিশেষ স্কলারশিপ প্রদান করে।

GPA (SSC ও HSC)

স্কলারশিপের হার (টিউশন ফির উপর)

3.5 - 5.0

50%

3.0 - 3.4

20%

উল্লেখ্য যে, ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) স্বাক্ষরিত MoU অনুযায়ী শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিসিয়াল অনুমোদিত পার্টনার

নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Noida International University - NIU), দিল্লি-এনসিআর

দিল্লি-এনসিআর-এ অবস্থিত নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (NIU) সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং আকর্ষণীয় স্কলারশিপ সুবিধার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা টিউশন ফির উপর ৫০% পর্যন্ত স্কলারশিপ পেতে পারে। বিশেষ করে রংপুর ও দিনাজপুরের মতো উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় পছন্দ।

চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (Chandigarh University), পাঞ্জাব

চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় তার বিশ্বমানের র‍্যাঙ্কিং এবং শক্তিশালী প্লেসমেন্ট রেকর্ডের জন্য সুপরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অসাধারণ মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ সুবিধা প্রদান করে, যা 'Chandigarh University scholarship for Bangladesh' নামে পরিচিত। স্কলারশিপের সর্বশেষ ও সঠিক তথ্য জানতে ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE)-এর সাথে যোগাযোগ করুন।

গালগোটিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় (Galgotias University), নয়ডা

দিল্লি-এনসিআর এর নয়ডায় অবস্থিত গালগোটিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য বিখ্যাত। এখানকার কিছু জনপ্রিয় কোর্সের সেমিস্টার ফি নিচে দেওয়া হলো:

  • বি.টেক ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং: ১,৫৪,০০০ ভারতীয় রুপি (প্রতি সেমিস্টার)
  • এমবিএ ইন ডুয়াল স্পেশালাইজেশন: ১,৫৪,০০০ ভারতীয় রুপি (প্রতি সেমিস্টার)

ফলাফলের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা এখানে বিশেষ ছাড় পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে।

অন্যান্য জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়

উপরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। এগুলোও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য সুপরিচিত।

  • লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (LPU): এটি একটি সাশ্রয়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বি.টেক প্রোগ্রামের সেমিস্টার প্রতি খরচ ছিল প্রায় ১,৩০,০০০ ভারতীয় রুপি।
  • অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি: বিজনেস এবং সোশ্যাল সায়েন্স বিষয়গুলোর জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ সুনাম রয়েছে।
  • পারুল ইউনিভার্সিটি: এটিও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকা একটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান।
  • মনিপাল ইউনিভার্সিটি: উন্নত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এটি পরিচিত।
  • এসআরএম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য এটি একটি অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান।
  • ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটি: মানসম্মত শিক্ষা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের জন্য এটি সমাদৃত।

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া

ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ সহজ, বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE)-এর মতো অনুমোদিত প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন করলে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও মসৃণ হয়। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এই ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত রাখলে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:

  • NID কার্ড বা পাসপোর্টের কপি
  • SSC এবং HSC পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
  • একটি সক্রিয় ইমেইল আইডি
  • একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর
  • পছন্দের কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

আবেদন প্রক্রিয়া (ধাপে ধাপে):

  1. WBE-তে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিন।
  2. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করুন।
  3. বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অ্যাডমিশন ফি প্রদান করুন।
  4. অ্যাডমিশন লেটার ও ভিসা লেটার সংগ্রহ করুন।
  5. ভারতীয় হাই কমিশনে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করুন।
  6. ভারতে পৌঁছানোর ১৪ দিনের মধ্যে e-FRRO (ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) এ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাডমিশন প্রসেসিং সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে।

স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা

বেশিরভাগ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে, যা উচ্চশিক্ষার খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ

  • শারদা বিশ্ববিদ্যালয়: এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৫+ পেলে টিউশন ফির উপর ৫০% এবং জিপিএ ৩.০-৩.৪ পেলে ২০% স্কলারশিপ।
  • নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (NIU): টিউশন ফির উপর ৫০% পর্যন্ত ছাড়।
  • চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়: মেধার ভিত্তিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে।
  • গালগোটিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়: মেধার ভিত্তিতে বিশেষ ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।

ICCR সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপ

এটি ভারত সরকার প্রদত্ত একটি সম্পূর্ণ ফান্ডেড স্কলারশিপ। প্রতি বছর ৫০০ জন মেধাবী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

এই স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ, বিমান ভাড়া এবং মাসিক হাতখরচসহ সকল ব্যয় বহন করা হয়। স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয় রুপি স্টাইপেন্ড হিসেবে পায়।

এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া সরাসরি বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন এবং এর সহকারী হাই কমিশনগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ভারত সরকার এই প্রক্রিয়ার জন্য কোনো এজেন্ট নিয়োগ করে না।

ভারতে জীবনযাত্রা – স্টুডেন্ট লাইফ গাইড

ভারতের প্রধান শহরগুলোতে, যেমন দিল্লি-এনসিআর-এ একজন শিক্ষার্থীর মাসিক জীবনযাত্রার খরচ আনুমানিক ₹২২,০০০ থেকে ₹৫০,০০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে।

দিল্লিতে সম্ভাব্য মাসিক খরচের একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো:

  • থাকা (Accommodation): হোস্টেল বা শেয়ারড অ্যাপার্টমেন্টে থাকলে খরচ ₹৫,০০০ থেকে শুরু করে ₹৬০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলগুলো তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।
  • খাবার ও অন্যান্য (Groceries & Food): মাসিক খরচ প্রায় ₹২,০০০ থেকে ₹১৫,০০০।
  • যাতায়াত (Transportation): পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে মাসিক খরচ ₹১,০০০ থেকে ₹৭,০০০ এর মধ্যে থাকে।

এছাড়াও, প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশী ছাত্র কমিউনিটি রয়েছে, যা নতুন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সহায়তার অনুভূতি দেয়। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে এই খরচ কমবেশি হতে পারে, তাই শুরুতেই একটি বাজেট পরিকল্পনা করা বুদ্ধিমানের কাজ।

উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীরা ভারতকে বেছে নেয় কেন?

দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার মতো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এর কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ হলো:

  1. সহজ ও সাশ্রয়ী যাতায়াত: ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে সড়কপথে বা ট্রেনে যাতায়াত করা অনেক সহজ ও কম ব্যয়বহুল।
  2. ঢাকার চেয়ে কম খরচ: অনেক ক্ষেত্রে, ভারতের জনপ্রিয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার মোট খরচ ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে কম হয়।
  3. শক্তিশালী বাংলাদেশী কমিউনিটি: ভারতীয় ক্যাম্পাসগুলোতে বড় বাংলাদেশী ছাত্র নেটওয়ার্ক থাকায় শিক্ষার্থীরা একাকীত্ব বোধ করে না এবং একে অপরের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পায়।

ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) যেভাবে সহায়তা করে

ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন পূরণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সহায়তা করে।

  • অফিসিয়াল অনুমোদিত পার্টনার: WBE শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অনুমোদিত পার্টনার।
  • নির্ভরযোগ্য গাইডেন্স: শারদা ছাড়াও, আমরা নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চণ্ডীগড় ও গালগোটিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সঠিক তথ্য সরবরাহ এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরাসরি সহায়তা করে থাকি।
  • বিনামূল্যে সেবা: শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং এবং অ্যাডমিশন সম্পর্কিত সকল সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
  • সম্পূর্ণ সহায়তা: বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন এবং যাত্রার পূর্ববর্তী ব্রিফিং পর্যন্ত সকল ধাপে সহায়তা করা হয়।
  • উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত: উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের সহজে সেবা দেওয়ার জন্য এর প্রধান অফিস দিনাজপুরে অবস্থিত।

আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম ধাপ

সাশ্রয়ী খরচ, বিশ্বমানের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক মিলের কারণে ২০২৫ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প। সঠিক তথ্য ও নির্ভরযোগ্য গাইডেন্সের মাধ্যমে আপনিও ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলিং এবং ভর্তি সহায়তা পেতে আজই যোগাযোগ করুন ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) এর সাথে।

WhatsApp: +8801611533385

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)

প্রশ্ন ১: ভারতীয় ডিগ্রি কি বাংলাদেশে বৈধ?

উত্তর: হ্যাঁ, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত এবং বাংলাদেশেও এর উচ্চ মূল্যায়ন করা হয়।

প্রশ্ন ২: ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় খরচ কেমন?

উত্তর: অনেক ক্ষেত্রে, টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচসহ মোট ব্যয় ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমতুল্য বা তার চেয়েও সাশ্রয়ী। লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির উদাহরণটি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন ৩: বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা কি ভারতে স্কলারশিপ পায়?

উত্তর: হ্যাঁ, অবশ্যই পায়। শারদা, চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফলাফলের ভিত্তিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ দেয়। এছাড়াও, ভারত সরকারের ICCR সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপ একটি সম্পূর্ণ ফান্ডেড প্রোগ্রাম।

প্রশ্ন ৪: ওয়েস্টার্ন বাংলা এডুকেশন (WBE) ভর্তির ক্ষেত্রে কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর: WBE বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, আবেদন প্রক্রিয়া, ডকুমেন্টেশন এবং ভিসা প্রসেসিং পর্যন্ত সম্পূর্ণ সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করে। এটি শারদার মতো শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদিত পার্টナー, যা নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

Previous Post Next Post